মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে দেশের সব বন্দরে সতর্কতা

ঢাকা (২২ মে): বিশ্বের অন্তত ১২টি দেশে ৮০ জনেরও বেশি লোকের শরীরে ভাইরাসবাহিত অসুখ মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্সের জীবাণুর প্রবেশ ঠেকাতে সব বন্দরে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে দেশের সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরকে এ ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অসুস্থ কোনো ব্যক্তি কিংবা সন্দেহভাজন কেউ নজরে এলে তাকে শনাক্ত করে আইসোশেলনে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে দ্রুত তাকে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে। তবে এটা নিয়ে আপাতত আতঙ্কের কিছু নেই।

মাঙ্কিপক্সের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বর্তমান উপদেষ্টা ডা. মোস্তাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে এটি যেভাবে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, সে ক্ষেত্রে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে।

এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের ৯টি দেশসহ অন্তত ১২ দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আরও সংক্রমণ শনাক্ত হতে পারে জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলেছে, তারা আক্রান্তদের খুঁজে বের করে সহায়তা দিতে আক্রান্ত দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।

মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ, যা সাধারণত মৃদু থাকে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস গুটি বসন্তের মতো একই ভাইরাস পরিবারের সদস্য। তবে এটি অনেক কম গুরুতর। মাংকিপক্স মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দুর্গম অঞ্চলেই বেশি দেখা যায়। 

বিবিসি অনলাইনে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা ব্যথা, ফুলে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা ও সাধারণ ক্লান্তি। জ্বর সারা শুরু হলে গোটা উঠতে পারে। সাধারণত তা মুখমণ্ডল থেকে শুরু হয়। এরপর শরীরের অন্যান্য অংশে, সাধারণত হাতের তালু এবং পায়ের তলায় ছড়িয়ে পড়ে। গোটায় খুব চুলকানি হতে পারে। সংক্রমণটি সাধারণত নিজে থেকেই চলে যায়। এটি ১৪ থেকে ২১ দিন স্থায়ী হয়। কেউ সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে মাংকিপক্সে আক্রান্ত  হতে পারে। ভাইরাসটি ত্বকের ক্ষত, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়েও শরীরে প্রবেশ করতে পারে।