বৃহস্পতিবার

২৫ এপ্রিল ২০২৪


১২ বৈশাখ ১৪৩১,

১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শহীদ মিনারে ফুল দিতে টিকার সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:২২, ২৩ জানুয়ারি ২০২২  
শহীদ মিনারে ফুল দিতে টিকার সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ফাইল ফটো

ঢাকা (২৩ জানুয়ারি): করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উবর্ধগতির কারণে সীমিত আকারে ‘শহীদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস-২০১২’ পালন করা হবে। তবে এবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে এলে করোনাভাইরাসের টিকার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে এবং সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। 

এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জন শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন।

রবিবার  অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় উপাচার্য বলেন, কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের ন্যায় এ বছরও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইন অনুষদের ডিন ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে যুগ্ম সমস্বয়কারী এবং প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য সচিব করে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ছাড়াও মহান অমর একুশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, অফিস প্রধান এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতিগুলোর প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন। সভার শুরুতে মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর ষ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়