বৃহস্পতিবার

২৫ এপ্রিল ২০২৪


১২ বৈশাখ ১৪৩১,

১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৪০ দেশে কার্ড জালিয়াতির পর বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তুরস্কের হাকান

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২২  
৪০ দেশে কার্ড জালিয়াতির পর বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তুরস্কের হাকান

ছবি: এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের মূলহোতা তুরস্কের হাকান জানবুরকান

ঢাকা (১৯ জানুয়ারি): এটিএম কার্ড ক্লোনিং করে একে একে ৪০টি দেশে শত শত মানুষের টাকা তুলেছেন তুরস্কের হাকান জানবুরকান। ভারতে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে বাংলাদেশে এ অপরাধ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের মূলহোতা হাকান।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান-১ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাকানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যজন হলেন বাংলাদেশের মো. মফিউল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার হাকান জানবুরকান তুরস্কের নাগরিক। তিনি আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের অন্যতম সদস্য।

সিটিটিসির প্রধান বলেন, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত হাকান ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজল্যান্ড, ইউএসএ, ভারত, তুরস্ক, সৌদিআরব, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বলিভিয়া, স্পেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়েসহ প্রায় ৪০ টি দেশের নাগরিকের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে স্ক্যামিংয়ের মাধ্যমে কমপক্ষে ৮৪ বার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন।

ইস্টার্ন ব্যাংক লি. এন্টি স্ক্যামিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় এ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়ে হ্যাকারের স্ক্যামিং রোধ করতে সক্ষম হয়।
 
তিনি বলেন, হাকান জানবুরকান ২০১৯ সালে ভারতের আসাম রাজ্যের পল্টনবাজার পুলিশ স্টেশনের এটিএম স্ক্যামিং মামলায় অন্য এক তুরস্কের নাগরিক এবং ২ বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় হাকান জানবুরকানসহ তারা ভারতের বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে কার্ড ক্লোনিং করে প্রায় ১০ লাখ রুপি আত্মসাৎ করেছিলেন। ভারতে প্রায় ২০ মাস জেলে থাকার সময় আগরতলার পুলিশ হেফাজত হতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি সুকৌশলে পালিয়ে যান।

পরবর্তীতে এক ভারতীর সহায়তায় দুই লাখ রুপির বিনিময়ে সিকিম হয়ে নেপালে পৌঁছান। সেখান থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নিজ দেশে ফিরে যান। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন।

সবশেষ হাকান জানবুরকান গত ৩১ ডিসেম্বর ফের বাংলাদেশে আসেন। উঠেছিলেন রাজধানীর দ্য ক্যাপিটাল হোটেলে।

এই চক্রে তুরস্ক, বুলগেরিয়া, মেক্সিকো, ভারত, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক জড়িত আছে বলেও জানান সিটিটিসি প্রধান।

এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।    

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়