বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনের সাজা হাইকোর্টে বহাল
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ (ফাইল ফটো)
ঢাকা (০৯ ডিসেম্বর): শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধায় গাড়ি এনে পরবর্তীতে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে নিম্ন আদালতের দেওয়া ৫ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ সংসদ সদস্য হারুনের আপিল আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দ-বিধির ৪০৯ ধারায় এমপি হারুনকে ৫ বছরের কারাদ- দেন। একইসঙ্গে ওই রায়ে তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদ- ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ- দেন আদালত।
বিচারিক আদালতের ওই রায়ে হারুন অর রশীদ ছাড়াও চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে (এমডি, চ্যানেল ৯) ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদ- ও এক লাখ টাকা অর্থদ- ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং অপর আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদ- ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত করা হয়েছিল।
পরে উচ্চ আদালত আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদ- স্থগিত করেন এবং তাদের জামিন দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সংসদ সদস্য হারুন জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে ক্রয় করে। গাড়িটি তিনি পরে আরেক আসামি ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন।
নিয়ম অনুযায়ী শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু আসামি হারুন শুল্ক না দিয়ে আইন ভঙ্গ করেন। এ অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুছ আলী একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। ওই বছরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় এবং আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।