শনিবার

২০ এপ্রিল ২০২৪


৭ বৈশাখ ১৪৩১,

১১ শাওয়াল ১৪৪৫

‘একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীও স্কুলছাত্রীর ড্রেস পরে আন্দোলন করছেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ৫ ডিসেম্বর ২০২১  
‘একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীও স্কুলছাত্রীর ড্রেস পরে আন্দোলন করছেন’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি, সংগৃহিত

ঢাকা (০৫ ডিসেম্বর):  হাফ ভাড়া ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বহিরাগত ঢুকে পড়া প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখন ছাত্রদের আন্দোলনে তো দেখা যায় ৩০/৩৫ বছর বয়সী ছাত্রের মায়েরাও ঢুকে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখলাম, একটি রাজনৈতিক দলের ৩৫ বছর বয়সী নেত্রী, উনিও স্কুলছাত্রীর ড্রেস পরে সেখানে আন্দোলন করছেন।

আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আজও ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছে প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্ররা যে আন্দোলনে নেমেছে, সে জন্য আমরা সহানুভূতিশীল। তারা যে হাফ ভাড়ার জন্য আন্দোলন করছে, প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বিআরটিসি বাসে হাফ ভাড়া সারাদেশের জন্য কার্যকর করেছেন। বেসরকারি বাস মালিক সমিতি ঢাকায় কার্যকর করেছে।

মন্ত্রী বলেন, শুধু শিক্ষার্থী নয়, নিরাপদ সড়ক আমরা সবাই চাই। সেই দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন আছে। তাই বলে রাস্তাঘাট আটকে আন্দোলন করা কতটুকু যৌক্তিক, অন্য মানুষের ভোগান্তিতে ফেলে আন্দোলন করা কতটুকু যৌক্তিক, সেই প্রশ্নও থেকে যায়।

ডক্টর হাছান বলেন, গতকাল আমি টেলিভিশনে কয়েকটি মুখ দেখলাম, ওদেরকে মনে হল না তারা স্কুলের ছাত্র বা ছাত্রী। তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদরা ঢুকে গেছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সেখানে ঢুকে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের অনুরোধ জানাব, তাদেরকে যাতে কেউ রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকার জন্য।

খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মৃত্যু অত্যন্ত অনভিপ্রেত, দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্তাধীন। আমি মনে করি এর সুষ্ঠু তদন্ত হবে। 

তিনি আরও বলেন, তদন্তে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে তার কোনো রোগ ছিল কি না, হার্ট ডিজিজ ছিল কি না, অন্য কোনো রোগ ছিল কি না। যে অভিযোগ এসেছে, তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে, এরপর তিনি বাসায় গিয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে মারা গেছেন। সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে হার্ট অ্যাটক না স্ট্রোক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ যেহেতু এসেছে সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েকজন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কারও করেছে। এ মুত্যু দুঃখজনক, অনভিপ্রেত। যদি কেউ দায়ী হয়, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সরকার আইন অনুযায়ী যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু কারও যদি বাগবিতণ্ডার পর হার্ট অ্যাটাকে বা স্ট্রোকে মৃত্যু হয় সে জন্য তদন্ত হওয়ার আগে, ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উদঘাটিত হওয়ার আগে সেই বাগবিতাণ্ডাকেই দায়ী করা সেটি কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্নও থেকে যায়।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়