বৃহস্পতিবার

২৫ এপ্রিল ২০২৪


১২ বৈশাখ ১৪৩১,

১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে: ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৬:২০, ২৫ নভেম্বর ২০২১  
নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে: ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

ছবি: জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

ঢাকা (২৫ নভেম্বর): নারী নির্যাতন ও সহিংসতা নারীদের শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব ধরনের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ‘লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপ অন উইমেন অ্যাডভ্যান্সমেন্ট এন্ড জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি’ এর যৌথ আয়োজনে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সরকারের পক্ষে একা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সম্ভব না। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা  বন্ধ করতে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গনমাধ্যম সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই সবার সম্মিলিত উদ্যোগে, আমরা নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত দেশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে পারব।  

তিনি বলেন, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। এলক্ষ্যে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে।

সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদন্ড’ করা হয়েছে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরো বলেন, ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডিএনএ প্রোফাইলিং ও স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা,  উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিগুলো পূণর্গঠন ও সক্রিয় করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউএন রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন।

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথারিন ডি স্টিভেন্স, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন। স্বাগত বক্তব্য নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টোরাল প্রোগ্রামের পরিচালক দেন এ কে এম শামিম আক্তার।

জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’। জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচিতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ন্যাশনাল ডায়ালগ, সেমিনার ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।   

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়