পরিবার ও দেশের স্বার্থে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন: হাছান মাহমুদ

ঢাকা (০১ জুলাই): নিজের, পরিবারের এবং দেশের স্বার্থে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকার আহবান জানান।   

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহবান জানান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, 'জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার স্বার্থে, এই করোনা থেকে রক্ষা করতে সরকার লডকডাউন ঘোষণা করেছে।  সরকার এই লকডাউন কখনো প্রলম্বিত করতে চায়না। কিন্তু জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউন সমাধান বলেও আমরা মনে করি না। সবাই যদি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলি, তাহলে আমাদের পক্ষে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দলের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ জন নেতা এই করোনায় মারা গেছেন। অনেক নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের ১২৫ জনেরও বেশি সংসদ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অনেকে এবং দলের সাত থেকে আটশ' নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।’

লকডাউন চলাকালে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,  'প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সবসময় জনগণের পাশে ছিল এখনো আছে।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি দু’জন নির্বাহী সদস্যের পদত্যাগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েকদিন আগে 'পলায়ন' সম্পর্কে একটি কথা বলেছিলেন। এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সবাই আস্তে আস্তে পালাচ্ছে। বিএনপি যে পলায়নপর তার প্রমাণ হচ্ছে এই দু’জনের পদত্যাগ।’

'বিএনপি বরং দেশে গণতন্ত্র হরণের অপচেষ্টা করেছে, সেকারণে তারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলো' বলে উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'এই নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে এবং সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে।’