‘সড়ক দুর্ঘটনার সরকারি পরিসংখ্যান দরকার’

ঢাকা (০৮ জানুয়ারি): সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সরকারি উদ্যোগে প্রকাশের দাবি জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, তা না হলে নানা পরিসংখ্যানে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। 

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নিজের সংগঠনের পরিসংখ্যান তুলে ধরার সময় এ কথা বলেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন’-এর এই নেতা।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, দেশের সড়ক দুর্ঘটনা গত বছর বিগত দুই বছরের তুলনায় বেড়েছে। ২০২১ সালটিও ছিল করোনা মহামারির বছর, প্রায় ছয় মাস জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। যে কারণে সড়ক দুর্ঘটনা আরও কম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হচ্ছে এ বছর সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনা পরিসংখ্যানে।

তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে সরকার অথবা অন্যকোনো পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতো না। ২০১২ সাল থেকে আমাদের সংগঠন নিয়মিতভাবে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আসছে।

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের এ নেতা বলেন, বার বার বলা সত্ত্বেও দেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ডাটা সেন্টার করা হচ্ছে না। তাই সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান কেউ দিতে পারছে না। তবু আমরা তৈরি করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা দাবি করে আসছি, সরকারি উদ্যোগে এই পরিসংখ্যান প্রকাশের ব্যবস্থা করা হলে জনগণ সড়কের প্রকৃত অবস্থান জানতে পারত। ইদানীং অনেকেই নিজেদের মতো করে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরছে। যেখানে তথ্য উপাত্তে নানা মত প্রকাশ পায়। এতে করে জনমনে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

গত দুই বছরে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার জন্য নিরাপদ সড়ক চাই যে কারণগুলো চিহ্নিত করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:  সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও তদারকির অভাব, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাব, টাস্কফোর্সের ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়া, দৈনিক চুক্তিভিক্তিক গাড়ি চালনা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, মহাসড়কে নির্মাণ ত্রুটি, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব ইত্যাদি। 

এ সময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনা বাড়াতে প্রচার চালাতে সরকারকে আহ্বান জানান।