আবু হেনা রনির শ্বাসনালী পুড়েছে, আশঙ্কামুক্ত নন

ঢাকা (১৭ সেপ্টেম্বর): গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চার বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে দগ্ধ আবু হেনা রনি ও পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের অবস্থা ‘আশঙ্কামুক্ত নয়’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুইজনের শ্বাসনালী কিছুটা পুড়ে গেছে।

আজ শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আজ সকালে দগ্ধ দুইজনের শরীরে ড্রেসিং করা হয়েছে। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তাদের দুইজনেরই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। আবু হেনা রনির দুই হাত, কান ও মুখের কিছু অংশসহ শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এবং পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের দগ্ধ হয়েছে ১৯ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, অপারেশন থিয়েটারে ড্রেসিংয়ের পর তাদেরকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে রাখা হয়েছে। তারা গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। শ্বাসনালী সামান্য দগ্ধ হলেও দগ্ধরোগী হওয়ায় তাদেরকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। এ সময় ডা. সামন্ত লাল সেন অগ্নিদগ্ধদের সুস্থতার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে, অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে জিএমপির ডিসি (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব শামসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— এডিসি (উত্তর) রেদোয়ান আহমেদ, এসি প্রসিকিউশন ফাহিম আশজাদ ও গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে জিএমপির ৪ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ ও আহত হন। এ ঘটনায় দগ্ধ আবু হেনা রনি, জিল্লুর রহমান, মোশাররফ হোসেন,  ইমরান হোসেন ও  রুবেল হোসেনকে প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদিকে, দগ্ধের মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়  তাদের।