শনিবার

২০ এপ্রিল ২০২৪


৭ বৈশাখ ১৪৩১,

১১ শাওয়াল ১৪৪৫

চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার আর নেই

বিনোদন ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ৪ জুলাই ২০২২  
চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার আর নেই

চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারI ছবি: সংগৃহিত

ঢাকা (০৪ জুলাই): ভারতের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। আজ সোমবার বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে তিনি মারা যান।

তিনি কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতার একটি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। গত ১৪ জুন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

এর পূর্বে, রবিবার সকালে আচমকাই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। আজ সোমবার সকালে নতুন করে ফুসফুসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়ে। 

চিকিৎসকরা সে সময় জানান, তার হৃদযন্ত্র ও কিডনির অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। ডায়ালিসিসের প্রয়োজন থাকলেও ডায়ালিসিস দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি।

তরুণ মজুমদার ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন । দীর্ঘ ৬০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি বানিয়েছেন অসংখ্য ছবি। ১৯৫৯ সালে ছবির জগতে পা রেখেই বানান উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের সঙ্গে ‘চাওয়া পাওয়া’র মতো কালজয়ী ছবি। ১৯৬২ সালে ‘কাচের স্বর্গ’ বানিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার যে ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। এরপরে পলাতক (১৯৬৩), নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা — এই সব ছবি সমালোচক মহলে বহুল প্রশংসিত হয়। 

তার পরিচালিত বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলী (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), পরশমণি (১৯৮৮) ও আপন আমার আপন (১৯৯০) বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে।  তরুণ মজুমদার ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ২০২১ সালে দুটি খণ্ডে প্রকাশিত হয় তার স্মৃতিকথা। 

চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের স্ত্রী সন্ধ্যা রায় নিজেও প্রভাবশালী প্রতিভা সম্পন্ন অভিনেত্রী। তিনিও তার ২০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার হাত ধরেই উঠে এসেছে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়