কলকাতায় কনসার্টের পর বলিউড শিল্পী কে কের মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (০১ জুন): ভারতের কলকাতায় কনসার্টের পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (কেকে)। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার নজরুল মঞ্চ মিলনায়তনে একটি কনসার্টের কয়েক ঘন্টা পরে কে কে শহরের একটি বেসরকারি হোটেলের সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ে যান। এরপর কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, কলকাতার গুরুদাস কলেজের মঞ্চে গান গাইতে গাইতেই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন কে কে। দ্রুত তাকে শহরের প্রথম সারির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
কে কের মৃত্যুর খবরটি প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানান অমিত কুমারের স্ত্রী রিমা গাঙ্গুলি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বলিউডের বেশ কিছু সেলিব্রিটি কে কে-এর মৃত্যুতে টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন।
মোদি লিখেছেন, ‘কে কে নামে পরিচিত প্রখ্যাত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত। তার গানে বিস্তৃত আবেগ প্রতিফলিত হয়েছে এবং সব বয়সের মানুষের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে। আমরা তার গানের মাধ্যমে তাকে সবসময় মনে রাখব। তার পরিবার ও ভক্তদের প্রতি সমবেদনা।’
বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমার টুইট করেছেন, ‘কে কে-এর মৃত্যুর খবর জেনে অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত। কী ক্ষতি! ওম শান্তি।’
এদিকে আরেকটি প্রতিবেদনে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, কেকে’র মৃত্যুকে “অস্বাভাবিক” দাবি করে নিউ মার্কেট থানায় মামলা করা হয়েছে। গায়কের সঙ্গে তার যেসব সঙ্গীরা কলকাতার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, তাদের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
সেই অভিযোগ পেয়েই তদন্ত নেমেছে পুলিশ। কেকে কলকাতায় গিয়ে নিউ মার্কেট সংলগ্ন এলাকার যে পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেলের ম্যানেজারসহ অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় কেকে’র মাথায় আঘাত লাগার কথাও বলা হয়েছে। যদিও অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ অবস্থায় হোটেলে এসে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। চোট সেজন্যও মাথায় আঘাত লেগে থাকতে পারে।
এ প্রজন্মের অন্যতম বহুমুখী গায়ক হিসেবে পরিচিত কে কে হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলেগু, বাংলা, অসমীয়া ইত্যাদি ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষায় গান রেকর্ড করেছেন। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে 'পাল' এবং 'ইয়ারন'-এর মতো গানের জন্য তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।