শনিবার

২০ এপ্রিল ২০২৪


৭ বৈশাখ ১৪৩১,

১১ শাওয়াল ১৪৪৫

বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২২:৫১, ১৭ অক্টোবর ২০২১  
বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (১৭ অক্টোবর): বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে পন্যের দাম বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

রবিবার ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিনিয়ত মিটিং করা হচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেসকল পণ্যের দাম বেড়েছে বলে বলা হচ্ছে, যেমন- তেল,পেঁয়াজ ও চিনি ইত্যাদি প্রতিটি পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেড়েছে। এ কারনৈ এর প্রভাব দেশেও পড়েছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরিব-স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে কম দামে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করছি।

পেঁয়াজের মুল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের ২০ শতাঙশ পেঁযাজের ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতির ৯০ শতাংশ ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। ফলে ভারতে যখন দাম বাড়ে, তখন আমাদের দেশেও এর প্রভাব পড়ে। বর্তমানে মিশরসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করাটা অনেক সময়ের ব্যাপার। অনেক সময় আমদানির সময় পথেই পেঁয়াজ পচে যায়। এই বিষয়টিও সকলকে বুঝতে হবে।

দেশে বছরে ৫১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানীতে তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর আমরা নির্ভরতা কমাতে চাইছি। এ খাত থেকে ৮৩-৮৪ শতাংশ রফতানি আয় আসে। আমরা চাই অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাড়–ক। যেন একটা পণ্যের ওপর অধিক নির্ভরশীলতা না থাকে। আমরা সেই অবস্থা থেকে বের হতে চাচ্ছি। চামড়া, পাট, প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইলস ও প্লাস্টিক ইত্যাদি খাতে আমরা ভালো করছি। আশা করছি রপ্তানীতে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। 

টিপু মুনশি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে। ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে। টেলিফোন সুবিধা তো আরও বেশি। ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি মিলবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের অনেক সুবিধা কমে যাবে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে যৌথভাবে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিতব্য ওই আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান উপস্থিত ছিলেন।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়