শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিশেষ তহবিলের টাকা সুকুকে বিনিয়োগ করার নীতিমালা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২০:২৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিশেষ তহবিলের টাকা সুকুকে বিনিয়োগ করার নীতিমালা জারি

বাংলাদেশ ব্যাংক (ফাইল ফটো)

ঢাকা (২৭ সেপ্টেম্বর): পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তফসিলি ব্যাংকের গঠন করা বিশেষ তহবিলের টাকা নবায়নযোগ্য শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট সুকুকে (শরীয়াহসম্মত বন্ড) বিনিয়োগ করার নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনা অনুসারে, ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ পাবে ব্যাংকগুলো।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচিত নীতিমালা সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। একইদিন তা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা গেছে।

দেশের প্রথম গ্রিন সুকুকের সাবস্ক্রিপশন চলাকালে এই নীতিমালা জারি হল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড এই সুকুক ইস্যু করছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত ২০০ কোটি টাকার তহবিলের সম্পূর্ণ অংশ (লভ্যতা অনুসারে) নূন্যতম ৭০ শতাংশ সৌর বিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি চালিত বিদ্যুৎ, জল বিদ্যুৎ, বায়োমাস ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বেসরকারি উদ্যোক্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত তালিকাভুক্ত বা সাবস্ক্রিপশন ক্লোজিং-এর তারিখ হতে এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হবে এরূপ ১০০ শতাংশ অ্যাসেট ব্যাকড গ্রীন সুকুক-এ বিনিয়োগ করা যাবে।

কোন ধরনের সুকুকে বিশেষ তহবিলের টাকা বিনিয়োগ করা যাবে, তার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ইস্তিসনা সুকুক, সালাম সুকুক, ও ইজারাহ সুকুক এই ৩ ধরনের সুকুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইব্রিড সুকুকে এই অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে।

সুকুকের তহবিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পরিপালন করতে হবে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রের ১০০ শতাংশ মার্জিনে ঋণপত্র খুলতে হবে, পণ্য ১২০ দিনের মধ্যে জাহাজীকরণ/সরবরাহ করার শর্ত থাকতে হবে, সমস্ত স্থানীয় ব্যয় ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে এবং প্রকল্প উন্নয়নে সর্বোচ্চ ৮ মাস সময় বরাদ্দ থাকবে।

অন্যান্য শর্ত হচ্ছে- সুকুক-এর তহবিল স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি)-এর নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। উক্ত ব্যাংক হিসাব হতে সুকুক-এর জন্য নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট ব্যয় ব্যতীত অন্য কোন খাতে খরচ প্রদান করা যাবে না; প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে কোন কারণে বিএসইসি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুকুক-এর সাবক্রিশন সম্পূর্ণ না হলে বা সুকুক ইস্যুর বিষয়টি বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট এসপিভি কর্তৃক এক সপ্তাহের মধ্যে বিনিয়োগকারী ব্যাংকসমূহকে সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সুকুক-এর ট্রাস্টি, এসপিভি এবং বিনিয়োগকারী ব্যাংকসমূহের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করতে হবে; সেকেন্ডারী মার্কেট বা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বা উভয় প্রকারে কোন সুকুক-এর মোট ইস্যুর ১০ শতাংশের বেশি পরিমাণ কোন ব্যাংক বিনিয়োগ করতে পারবে না; কনর্ভাটেবল সুকুক-এর ক্ষেত্রে কনভার্সন -এর পর ইক্যুয়িটি ধারণ যাতে ১০ শতাংশের বেশি না হয়, তা বিনিয়োগকারী ব্যাংককেই নিশ্চিত করতে হবে; অতালিকাভুক্ত সুকুক-এ বিনিয়োগের পূর্বে সাবক্রিশনের তারিখ হতে এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্তির বিষয়ে ট্রাস্টি, এসপিভি, ইস্যুয়ার এবং বিনিয়োগকারী ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে হবে।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়