বুধবার

২৪ এপ্রিল ২০২৪


১১ বৈশাখ ১৪৩১,

১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি খাতের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রণোদনা

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০১:১৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ০৪:১৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
কৃষি খাতের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রণোদনা

ফাইল ফটো

ঢাকা (১৪ সেপ্টেম্বর): কৃষি খাতের জন্য নতুন করে আরও তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যাংক থেকে চার শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে কৃষক। ব্যাংক এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে এক শতাংশ হার সুদে তহবিল পাবে। এর সঙ্গে আরও  তিন শতাংশ বাড়তি নিয়ে তারা ঋণ বিতরণ করতে পারবে। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে ১৮ মাসের মধ্যে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আগের গৃহীত বিভিন্ন প্রণোদনামূলক পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় কৃষি খাতের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পুনঃঅর্থায়ন  স্কিমের নাম ‘কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম (দ্বিতীয় পর্যায়)’।

স্কিমের আওতায় তহবিলের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা। উৎস হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল। স্কিমের মেয়াদ হবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই তহবিলের মেয়াদ গত জুনে শেষ হয়েছে।

নতুন এই স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। আগের ঋণ নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক নিজ ব্যাংক হতে প্রদত্ত বিদ্যমান ঋণ সুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ (সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা) এ স্কিমের আওতায় বিতরণ করতে পারবে।

নতুন কৃষকের জন্য ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা’ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে বিতরণ করতে পারবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য/ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে।

গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। শস্য ও ফসল ঋণ ব্যতীত অন্যান্য খাতের ঋণগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত/সহায়ক জামানত গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণ কোনভাবেই প্রাহকের পুরনো  ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। ঋণ খেলাপি হলে ঋণ প্রাপ্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়