তিন মাসে ৩০ হোটেলের ৪০ কোটি টাকা পাওনা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: পাওনা বিলের দাবিতে ঢামেক পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিচ্ছেন বিহ ‘র নেতৃবৃন্দ
ঢাকা(২১ জুন): ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কাছে রাজধানীর ৩০টি হোটেলের পাওনা ৪০ কোটি টাকা। মহামারী করোনার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে। এই কোয়ারেন্টাইনের বিপরীতে হোটের গুলোতে যে বিল আসে এর পুরো টাকাটা এখন পর্যন্ত বকেয়া রয়ে গেছে।
এই বকেয়া হোটেল বিল পরিশোধের দাবীতে সোমবার সকালে ঢামেক এর প্রশাসনিক ভবনে সামনে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, উনাদের বিলের মধ্যে কিছু অসংগতি ছিল, এগুলো আপনারা জানেন।বিষয়টি আমি আর এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। অনেকেই পাওনার চেয়ে বেশি বিল করেছেন। পরে অডিরেট সেগুলো ধরা পরে। তারপরেও আমরা চেস্টা করছি দ্রুত তাদের বিল ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
এসময় কবে নাগাদ বিল পরিশোধ করা হতে পারে উপস্থিত .সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা চলতি মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চেষ্টা করছি।
কবে নাগাদ বিল ছাড়া হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, চলতি মাসের (৩০ জুন) মধ্যে আমরা বিল পরিশোধের চেষ্টা করছি।
এর আগে মানববন্ধনে বিহার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ উর রহমান বলেন, ডিএমসির ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হোটেল কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয় আমাদের হোটেল গুলোতে। আমাদের সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যালের যে চুক্তি হয়েছিল, এর অন্যতম শর্ত ছিল, হোটেল কর্তৃপক্ষ দশ দিন পর পর ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছে বিল সাবমিট করবে এবং সাবমিটের পর পরবর্তী সাত কর্মদিবসে এ বিল পরিশোধ করা হবে।কিন্তু ১১ মাসেও এই বিল আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা বিল ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। আর হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন সুফল পাচ্ছি না। তিনি জানান, গেল বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্য়ন্ত এই তিল মাসের বিষ বাকী। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই বিল পরিশোধে দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে বিহার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ জানান, করেনাকালে আর্ন্তজাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় গেল বছর থেকে হোটেল ব্যবসায় ধস নেমেছে। ফলে ব্যবসার অবস্থা খারাপ। আমরা অনেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছি না। আমাদের ইউটিলিটি বিল জমে গেছে অনেক। বিল দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইউটিলিটি বিলগুলো একবছরের রেফার্ড পেমেন্টের (ইন্টারেস্ট ছাড়া) সুযোগ দেওয়ার আহবান জানান জানিয়ে বলেন, আগামী একবছরের জন্য ভ্যাট থেকে অব্যাহতি প্রদান করে হোটেলগুলোকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার সুযোগ দিন।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মহসিন হক হিমেল জানান, হোটেল কোয়ারেন্টাইনের জন্য আমরা ঢাকা মেডিক্যালকে অনেক ডিসকাউন্ট দিয়েছি। তারপরেও আমরা বিল পাচ্ছি না। তিনি আরও জানান, বিষয়টি আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি।