শনিবার

১৮ মে ২০২৪


৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সুপারিশ সিপিডির

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ১২ এপ্রিল ২০২১  
লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সুপারিশ সিপিডির

ছবি: সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ

ঢাকা (১২ এপ্রিল): লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সুপারিশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।

সোমবার সিপিডি আয়োজিত ‘কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ: কীভাবে সামলাব?’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব সুপারিশ করেন। সংস্থার পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলছে। এ প্রেক্ষিতে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে কড়া লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে।

এতে বলা হয়, গেল বছরের লকডাউন সাধারণ মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি ও জীবিকার উপর ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। এই সংকট এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বর্তমানের সংক্রমণ হার কমানোর জন্য কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভারসাম্য বজায় রাখাও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড ফাহমিদা খাতুন সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে বলেন, গত বছরের থেকে এই বছর সংক্রমণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরে আমরা দেখেছিলাম লকডাউন বেশ ঢিলেঢালা ভাবে হয়েছিল। তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

আমাদের করোনা ভাইয়াস নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই)-এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)-এর সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি। বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে তিনি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে এর আগেও কোভিড-এর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টা থাকলেও তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হয়নি বলে উল্লেখ করেন ব্র্যাকের সাবেক ভাইস চেয়ারপারসন, জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ডিন এবং বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের আহ্বায়ক ড আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী। বিজিএমইএ-এর নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান মনে করেন, লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা অনেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য গনপরিবহন ব্যবহার করবেন। এতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

সিপিডি’র ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লকডাউনের অর্থনৈতিক একটি প্রভাব রয়েছে। কিন্তু এটি সংক্রমণ ছড়িয়ে পরা রোধে বাধা দেবে। তিনি আরও বলেন যে, জীবন এবং জীবিকার মধ্যে এখন জীবন কে অগ্রাধিকার দেয়ার সময় এসেছে এবং এর জন্যস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।

সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড এ এস এম আলমগির, আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড মুশতাক হোসেন, ল্যাবএইড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড এ এম শামীম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) মহাসচিব ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সেক্রেটারি ফারুক আহমেদ।

সংলাপে সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান সহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত তুলে ধরেন।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়