বিএসইসির কারখানা পরিদর্শন করলেন নতুন চেয়ারম্যান
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব) সম্প্রতি টঙ্গী (গাজীপুর) অঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং চলমান প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন। শুরুতেই তিনি এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিএল) কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় এবিএলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিবর রহমান ইলেকট্রিক বাইক বাজারজাতকরণের বিষয়টি তুলে ধরেন। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান তাকে আশ্বস্ত করেন।
এরপর তিনি বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেডের আধুনিকীকরণ প্রকল্প ঘুরে দেখেন। এ সময় প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রকল্পের অধীন অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলমান আছে এবং মেশিনারিজ সংগ্রহের লক্ষ্যে এলসি খোলা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেভিং রেজার উৎপাদন করা হবে।
ওইদিন দুপুরে ঢাকা ওয়ার্কাস লিমিটেড পরিদর্শন করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। এসময় তিনি ঢাকা স্টিলের নতুন প্রকল্পের কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন। এরপর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ নিরাপদে গুদামজাত করার লক্ষ্যে বিএসইসি কর্তৃক রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ৫৩টি গুদামের মধ্যে বেশিরভাগ গুদামের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন এবং যাবতীয় কার্যক্রম যথাসময়ে শেষ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
বিকালে তিনি ন্যাশনাল টিউবস্ লিমিটেডের (এনটিএল) কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় এনটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনোয়ার মোর্শেদ জানান, এনটিএল দেশের আদমজী-খ্যাত একমাত্র এপিআই পাইপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি এপিআই পাইপের পাশাপাশি এমএস ও জিআই পাইপ উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক মানের এপিআই সনদ নবায়নে প্রযোজ্য সব কার্যক্রম গ্রহণে সহযোগিতা ও লাভের ধারা অব্যাহত রাখতে চেয়ারম্যান সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এর আগের দিন বিএসইসির চেয়ারম্যন ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেডের (ইটিএল) কারখানা পরিদর্শন করেন। ওই সময় বিএসইসি’র পরিচালক (অর্থ) মো. মনিরুল ইসলাম এবং পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) বদরুন নাহার, সচিব নাজমুল হক প্রধান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ এবং ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ইস্টার্ন এলইডি লাইটস সর্বোচ্চ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী। ইটিএলের এলইডি লাইটের লুমেন প্রতি ওয়াটে ১০০-এর অধিক, পাওয়ার ফ্যাক্টর ০.৯৫-এর চেয়ে বেশি, লাইফ টাইম ৩০ হাজার ঘণ্টা এবং ওয়ারেন্টি ০২ বছর। ইস্টার্ন এলইডি লাইটের পাওয়ার ফ্যাক্টর বেশি হওয়ায় এটি সর্বোচ্চ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। বাজারে প্রাপ্ত অন্য লাইটগুলার পাওয়ার ফ্যাক্টর ইস্টার্নের তুলনায় অনেক কম, অনেক ক্ষেত্রে তা ০.৫-এরও কম হয়। তাই ইস্টার্ন এলইডি তুলনামূলকভাবে অধিক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। ইস্টার্ন এলইডি, সিএফএল ও এনার্জি সেভিং বাল্বের প্রধান ক্রেতা বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন গার্মেন্ট, শিল্পকলকারখানা এবং সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর, সংস্থা ও সিটি করপোরেশন। বর্তমানে অনলাইনে পণ্য বিপণনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ঢাকা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত বিএসইসির অন্যান্য শিল্পকারখানা পরিদর্শন করেন।