বাজারে শীতকালীন সবজিতে ভরপুর, তবে দাম চড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (০২ ডিসেম্বর): রাজধানী ঢাকার কাঁচাবাজারগুলো শীতের সবজিতে ভরে উঠলেও দাম চড়াই রয়ে গেছে। বাজারে আলু ও পেঁপে ছাড়া কোনো পণ্যই ৫০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না।
এদিকে, সবজির দাম বৃদ্ধির জন্য চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা-পরিবহন ধর্মঘট, ডলারের উচ্চমূল্য ও সিন্ডিকেশনকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি সবজির দাম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
বাজারটির সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন এ প্রতিবেদককে জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত রাতে রাজশাহী থেকে সবজি বোঝাই ট্রাক ঢাকায় আসতে না পারায় বেশির ভাগ সবজির দাম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। .
আগামীতে দেশে এমন পরিস্থিতি থাকলে সবজির দাম আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
এদিকে, মুদি বাজারে চালের দাম আগের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রতি কেজি দেশী মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় এবং ভারতীয় মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
এ ছাড়া এক কেজি চিনির কেনার জন্য অনেককে এক দোকানে অন্য দোকানে যেতে দেখা গেছে। কারণ অনেক দোকান মালিকই বলছেন যে সরবরাহ স্বল্পতা এবং দামের অসঙ্গতির কারণে তারা চিনি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম বলে জানান কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বেসরকারি খাতের কর্মচারী আব্দুল গাফফার বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট ও স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা গুরুতর রূপ নিতে পারে, কারণ বিএনপি তার ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে যখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে ‘খেলা হবে’।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি না কী ধরনের খেলা অনুষ্ঠিত হবে? তবে আমরা সবাই জানি, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অনমনীয় অবস্থানের কারণে আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ জিনিসের জন্য অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে।
আব্দুল গাফফার বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক ও স্থানীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে জনবান্ধব হতে হবে।