মঙ্গলবার

১৬ এপ্রিল ২০২৪


৩ বৈশাখ ১৪৩১,

০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলু, পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২৫ জুন ২০২২  
আলু, পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (২৫ জুন): গত কয়েক দিনের বৃষ্টি, বন্যায় ফসল নষ্ট এবং কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ না থাকায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি, তাই দাম বেড়েছে। এছাড়া আলুর দামও বেড়েছে। তবে দাম কমেছে মসুর ডালের।

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে ।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এছাড়াও আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. তারেক জানান, এক সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা এবং আলুর দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা। মানভেদে চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মেসার্স মাতৃ ভান্ডারের পাইকারি বিক্রেতা সালাম শেখ জানান, বাজারে আমদানিকরা পেঁয়াজ না থাকায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। তাই দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। তবে, সামনে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে আরো দাম বাড়তে পারে।

এছাড়ও, যদি পেঁয়াজ আমদানি করা হয় তাহলে দাম আবার কমে যাবে বলেও তিনি জানান।

এদিকে সবজির দামও উর্ধ্বমুখী। বন্যার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। তাই সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে শসার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতা মো. সিরাজ বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে শসার দাম বেড়েছে বেশি। ৫০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। চিচিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, ভেন্ডি ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, লতি ৫৫ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৩৫ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে মরিচ ৬০ টাকা, গাঁজর ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা।

তবে, মসুর ডালের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মো. বাবলু মিয়া।

কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাদ্যপণ্যসহ নানা জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বেশ কষ্টে রয়েছেন। তারা বলছেন দাম বেশি হওয়ার কারণে চাহিদার তুলনায় কম কিনতে হচ্ছে।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়