শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা

মেহেদী হাসান || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ২৬ মে ২০২২  
ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (২৬ মে): সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধি ও ছোট ছোট খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সব ধরনের ডিমের দাম বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ও এলাকার দোকান ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিমের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা এবং হাঁসের ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, ডিমের বাজার চড়া। এক সপ্তাহ আগে মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। এখন দাম বেড়ে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া হাঁসের ডিমের ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

পড়াশোনার পাশাপাশি কারওয়ানবাজারে ডিমের ব্যবসা করেন মো. রাসেল আহমেদ। তিনি বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, মুরগির সাদা ডিম ১০০ পিস পাইকারি কেনেন ৮৭০ থেকে ৯০০ টাকায় এবং লাল ডিম ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকায়।

তিনি আরও জানান, পাইকারি ডিম কিনে তা তিনটি গ্রেডে ভাগ করা হয়। এ-গ্রেড, বি-গ্রেড এবং সি-গ্রেড। ডিমের সাইজ ভেদে এই তিন গ্রেডের ডিম বিক্রি করেন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ডজন।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা মেসার্স ভাই ভাই এগ শপের মালিক সম্ভু চক্রবর্তী বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। এছাড়া অনেক ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদা থাকলেও গাজীপুর, টাঙ্গাইল এবং মুন্সিগঞ্জের বড় বড় খামারিরা ডিমের সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছেন। সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার পাইকারি মুরগির ডিম বিক্রি করছেন ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা ডজন এবং হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।

বেসরকারি চাকুরিজীবী পারভেজ আহমেদ বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে জানান, বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মাছ মাংসের দামও অনেক। তাই সপ্তাহে একটু ডিম খাওয়ার চেষ্টা করলেও এখন ডিমের দাম বেড়েছে। মানুষ খাবে কি?

তিনি আরও বলেন, সব কিছুর দাম বাড়লেও আমাদের আয় বাড়ছে না। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে কি করবেন তা তিনি জানেন না।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়