বৃহস্পতিবার

২৫ এপ্রিল ২০২৪


১২ বৈশাখ ১৪৩১,

১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বন্ধ পাটকলের দায়-দেনা পরিশোধে ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ২৫ মে ২০২২   আপডেট: ২২:১৯, ২৫ মে ২০২২
বন্ধ পাটকলের দায়-দেনা পরিশোধে ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ

ফাইল ফটো

ঢাকা (২৫ মে): বন্ধঘোষিত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) মিলসমূহের দায়-দেনা পরিশোধে ৫৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এই টাকায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা, কাঁচা পাট সরবরাহকারীদের পাওনা এবং অন্যান্য পাওনা (ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের) পরিশোধ করা হবে। 

২০২১-২২ অর্থবছরের অর্থ বিভাগের সংশোধিত বাজেটে  ‘পরিচালন ঋণ’ খাত থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এর অনুকুলে  ‘পরিচালন ঋণ’  হিসেবে  ৫৭৪.১৪ কোটি (পাঁচশত চুয়াত্তর কোটি চৌদ্দ লক্ষ) টাকা  বরাদ্দ প্রদান করা হয়। 

বুধবার বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে ৩২৭ কোটি ৭ লাখ টাকা এক হাজার ৯৮০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা, দুই হাজার ২১৭ জন কাঁচা পাট সরবরাহকারীদের পাওনা বাবদ ২৩৪ কোটি ৯১ লাখ এবং ১,১১৯ জন ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের পাওনা বাবদ ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই টাকা অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবেনা। বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, কাঁচা পাট সরবরাহকারী এবং ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের সুনির্দিষ্ট ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে, গত ১০ মে তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২০ বছরে (৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ) ৫ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। 

চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী/কাঁচাপাট সরবরাহকারী/ষ্টোর সরবরাহ বা ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধকালে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ তাদের পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পাওনা পরিশোধ করবে। পাওনা পরিশোধকালে পাওনার বিষয়ে কোন অসঙ্গতি দৃষ্টিগোচর হলে বিজেএমসি/মিল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তা সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোন অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। 

এছাড়া কোন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট মিল অথবা বিজেএমসি’র বিরুদ্ধে কোন মামলা করে থাকলে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মামলার সকল ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর আদালতের রায় অনুযায়ী অথবা উক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট হতে মামলা প্রত্যাহারপূর্বক লিখিত আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের পাওনা পরিশোধের বিষয় বিবেচনা করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিল কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যক্তিগত দায় বা নিরীক্ষা আপত্তি থেকে থাকলে উক্ত আপত্তি নিষ্পত্তি হবার পর যথাযথ বিধি-বিধানের আলোকে পাওনাদি পরিশোধ করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ পরবর্তিতে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে।

বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মতর্কা-কর্মচারী/কাঁচা পাট সরবরাহকারী/ষ্টোর সরবরাহ বা ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের তালিকাসহ বিস্তারিত ব্যয় বিবরণী অর্থ বিভাগে প্রেরণ করতে হবে।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়