শুক্রবার

২৯ মার্চ ২০২৪


১৫ চৈত্র ১৪৩০,

১৯ রমজান ১৪৪৫

প্রথমবারের মতো কানাডায় রপ্তানি ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার

জান্নাতুল ফেরদৌসী || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ২১ মে ২০২২  
প্রথমবারের মতো কানাডায় রপ্তানি ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার

গ্রাফিক্স:বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (২১ মে): প্রথমবারের মতো কানাডায় রপ্তানির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। পণ্য রপ্তানিতে কানাডা এখন বাংলাদেশের বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে বাংলাদেশ কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি করে ১০৬ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে বলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে। গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর এ আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ।

বিজিএমইএর তথ্যে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে (২০২০-২১) কানাডায় বাংলাদেশের থেকে মোট রপ্তানি হয়েছে ৭৯৬ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।

তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জুলাই মাসে বলেছিলেন যে, বর্তমান অর্থ বছরের শেষে কানাডায় রপ্তানির পরিমাণ ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে। আর এখন দেখা যাচ্ছে, দশ মাসের পণ্য রপ্তানি করেই পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মুহাম্মদ হাতেম বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, গত চার দশকে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশ এখন পোশাকের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও রপ্তানি ক্রমাগত বেড়েছে। তাছাড়া, আমরা বিশ্বে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কেও ব্র্যান্ডিং করছি।

তিনি আরও বলেন, এ কথা সত্য যে সারাবিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটির পর একটি অপ্রত্যাশিত প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। এ কারণেই আমরা আমাদের সদস্যদের সব সম্ভাব্য বাজারে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে উৎসাহিত করছি। কানাডা একদিন আমাদের বড় ব্যবসায়িক সহযোগি হতে পারে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন শীর্ষ নেতাও এর সঙ্গে একমত পোষন করেছেন।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, পুরনো অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে, রপ্তানিকারকরা নতুন ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের লেনদেন বাড়াচ্ছেন। তাদের সঙ্গে পণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করাও সহজ।

অনন্ত অ্যাপারেল লিমিটেডের মার্চেন্ডাইজার শাহেদ শুভ বলেন, আমরা নতুন ক্রেতাদের স্বাগত জানাই। কারণ তারা পুরানো ক্রেতাদের তুলনায় দামের ক্ষেত্রে বেশি নমনীয়। কিন্তু বেশিরভাগ কারখানাই এই বছর আগস্ট পর্যন্ত বুক করা হয়ে গেছে। তাই, আমরা আর কোনো কার্যাদেশ গ্রহণ করতে পারছি না। তাছাড়া, আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং সাপ্লাই চেইনের বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করছি।

বেশ কিছু গার্মেন্ট মালিক নতুন আমদানিকারকদের কাছ থেকে নতুন অর্ডার পেতে তাদের কারখানা সম্প্রসারণ করছেন।

শুভ ধারণা করছেন, আগামী ২০ বছরে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য বাড়াবে।

এপ্রিলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ সময়ে এ রপ্তানি থেকে বিশ্ব বাজার থেকে ৩৯৩ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়