শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশ-চীনের বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২১:১৯, ২০ মে ২০২২  
বাংলাদেশ-চীনের বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে কমিটি গঠন

গ্রাফিক্স:বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (২০ মে): বাংলাদেশের অনেক আমদানিকারক চীনের সরবরাহকারকদের বিরুদ্ধে ঠিকমতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া চীনের সরবরাহককাররা পণ্যের মান ও ওজন নিয়েও বাংলাদেশি আমদানিকারকদের আপত্তি রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে চীনের সরবরাহকারীদেরও অভিযোগ রয়েছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশের কিছু কিছু আমদানিকারক পণ্যের অর্ডার দিয়ে চালান গ্রহন করছেন না। কিছু বাংলাদেশি আমদানি কারকের বিরুদ্ধে চীন অর্থ পরিশোধ না করারও অভিযোগ এনেছে।

চীন গত দুই বছর ধরে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে অনুসরণ করেছে এবং বিদেশিরা চীনে যেতে পারছেন না। তাই বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন এখনো সেখানে বিদেশিদের ভ্রমণে ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।

এ পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন করেছে।

বিসিসিআইয়ের যুগ্ম মহাসচিব আল মামুন মৃধা বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা চার ধরনের অভিযোগের সমাধান করব। এ অভিযোগ গুলোই আমরা সবচেয়ে বেশি পাচ্ছি।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং, বীমা এবং পণ্যের গুণমান নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করা হয়েছে।

আল মামুন বলেন, আমাদের বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি মূলত মধ্যস্থতা করবে এবং দুই পক্ষের অনুমোদন পেরেল আমরা সেটা নিয়ে অগ্রসর হবো।

চীন হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। কারণ বাংলাদেশ মোট পণ্য আমদানির এক-চতুর্থাংশ আমদানি চীন থেকে করে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, করোনভাইরাস মহামারী সত্ত্বেও ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ চীন থেকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য বা মোট আমদানির ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ পণ্য আমদানি করেছে।

বাংলাদেশ চীন থেকে প্রচুর কাঁচামাল এবং শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক, তুলা, কৃত্রিম ফাইবার, বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি করে থাকে।

বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিআইএসি) এর সাবেক সিইও মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী। তিনি বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগের কারণে একটি কোম্পানি বা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে।

বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে তিনি বলেন,  নানা ধরনের বিরোধ আস্থার ঘাটতি তৈরি করে, যা সামগ্রিক বাণিজ্যকে ব্যাহত করতে পারে।

তবে তিনি বলেন, মধ্যস্থতা কাঠামোগত কোন ব্যবস্থা নয় এবং এক্ষেত্রে অভিযোগের সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আস্থার ঘাটতি থাকতে পারে।

২০১৫ সাল থেকে প্রায় ছয় বছর ধরে মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী আলী বিআইএসি-এর সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখন ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে এর বোর্ডে রয়েছেন। কার্যকর ভাবে অভিযোগ নিষ্পতির জন্য তিনি বিসিসিআইকে বিআইএসি-এর সঙ্গে অংশীদার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়