মঙ্গলবার

১৪ মে ২০২৪


৩১ বৈশাখ ১৪৩১,

০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শুধু টিআইএন নয়, করদাতা বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আসিফ শওকত কল্লোল || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ১৯ মে ২০২২  
শুধু টিআইএন নয়, করদাতা বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গ্রাফিক্স:বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ

ঢাকা (১৯ মে): শুধুমাত্র টিআইএন সনদ না বাড়িয়ে প্রকৃত রাজস্ব আয় বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেল ১২ মে আগামী অর্থ বছরের বাজেট নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এনবিআর কর্মকর্তাদের রাজস্ব আদায়ের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন বলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সব সময় ঘোষণা দেন যে দেশের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির সেই প্রবণতা কোথায়?

গত কয়েক বছরে কেবল কিছু সংখ্যক টিআইএন বেড়েছে। কিন্তু আসল করদাতার সংখ্যা বাড়েনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাজস্ব সংগ্রহের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা কেন করদাতাদের সংখ্যা বাড়াচ্ছেন না?

এনবিআরের তথ্যানুযায়ী দেশে টিআইএন রয়েছে ৬৩ লাখ। আর এদের মধ্যে আয়কর দেন অর্ধেকের কম, মাত্র ২৪ লাখ।
রাজস্ব বোর্ড মার্চ মাস পর্যন্ত ২০২১-২২ অর্থবছরের মোট ২ দশমিক ০৪ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে যা মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার ৬২ শতাংশ। রাজস্বের একটি বড় অংশ শেষ তিনমাসে - এপ্রিল থেকে জুন- আদায়ের জন্য তারা রেখে দিয়েছে।

অর্থ বছরের শেষ তিন মাসে এনবিআরকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে আয়কর, ভ্যাট এবং শুল্ক  হিসেবে ১ দশমিক ২৫ লাখ কোটি টাকার বেশি কর সংগ্রহ করতে হবে।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্পর্কে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বড় মন্ত্রণালয়গুলোতে এডিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের হারের গতি ধীর হয়ে গেছে।

এডিপি বাস্তবায়নের ধীর গতিকে ‘মে-জুন সিনড্রোম’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজের প্রথম ছয় মাসে বাস্তবায়নের গতি কম এবং শেষ তিন মাসে তা বেড়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এডিপি বাস্তাবায়নের ধীরগতি কাটিয়ে উঠতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেট ঘাটতি আকারে বেশ বড়। কিন্তু নিজেদের অর্থ দিয়েই আমরা সেই ঘাটতি পূরণ করবো। বাজেট ঘাটতি পূরণ করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। তাই, বাজেট ঘাটতি যদি জিডিপির (গ্রোস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট) ছয় শতাংশের বেশি হয়ে যায়, তবে সেটা আমাদের অর্থনীতির জন্য খারাপ হবে না।
বাজেট প্রস্তুতির নথিতে জানা গেছে, ভর্তুকি এবং সুদের অর্থপরিশোধ বাড়ানোর কারণে ২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব ব্যবধানের পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।

এ ব্যয় যদি চূড়ান্ত করা হয়, তাহলে ঘাটতি দেশের মোট জিডিপির ৫ দশমিত ৫ শতাংশ বা অনুমানিক ৪৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা হতে পারে।

আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য অর্থ বিভাগ ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা প্রস্তাব করেছে। এটি জিডিপির ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বর্তমান বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি।

বর্তমান ২০২১-২২ অর্থবছর বাজেটের পরিমাণ হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সামগ্রিক বাজেট ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা (জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ)। ঘাটতি আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। আগের বছর ঘাটছি ছিল মোট বাজেটের ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ।     

 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়