ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
গ্রাফিক্স:বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা (১৪ জানুয়ারি): ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এমনকি সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে বেশ কিছু সবজির দাম। সব থেকে বেশি বেড়েছে শশার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে শশার দাম বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। এছাড়া দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ফুলকপি ও শিম।
রাজধানীর বিভিন্ন সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা শশার কেজি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে শশার কেজি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে শশার দাম বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে।
রায়ের বাজারে বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, সালাত হিসেবে শশা, লেবু আমাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকে। তিনি বলেন, ‘দাম বাড়ার কারনে ২ কেজি না নিয়ে এক কেজি নিচ্ছি।’
শশার পাশাপাশি গেলো এক সপ্তাহে বেড়েছে ফুলকপির দাম। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপির দাম বেড়ে এখন ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে বেড়েছে শিমের দাম। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মাদ রিয়াজ জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সব ধরনের সবজির দাম বেশি। সাধারণত শীতকালে সবজির দাম কম থাকে কিন্তু এবার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি বলেন, ‘গত বছর বড় একটি ফুলকপি ২০ টাকায় বিক্রি করতাম এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।’
ভরা মৌসুমেও শীতের সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে পাইকারি সবজির আড়ৎদার মালেক ভান্ডারী বলেন, ‘গত বছর কৃষকরা অনেক লস করেছে তাই এ বছর তা পুষিয়ে নিচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই এখন ফসল কম, কিন্তু চাহিদা বেশি তাই দাম বেশি।’
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর, মুলা, শালগমের। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মূলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগমের (ওল কপি) কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া বরবটির বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মূলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। এগুলোর দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।