বৃহস্পতিবার

২৫ এপ্রিল ২০২৪


১২ বৈশাখ ১৪৩১,

১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রূপপুরের যন্ত্রপাতি পরিবহনে পরমাণু শক্তিচালিত জাহাজ

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:২২, ৮ ডিসেম্বর ২০২১  
রূপপুরের যন্ত্রপাতি পরিবহনে পরমাণু শক্তিচালিত জাহাজ

ছবি: রসাটম

ঢাকা (০৮ ডিসেম্বর): রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৪শ টন মালামাল পরিবহনে পরমাণু শক্তিচালিত একটি জাহাজ ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে রাশিয়া। ‘সেভমোরপুত’ জাহাজটি স্টিল কাঠামো ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সম্প্রতি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ভøাদিভস্তকের নাখোদকা বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, উত্তর সমুদ্রপথের (নর্দান সী-রুট) পুরু বরফ স্তর অতিক্রম করে গন্তব্যে পৌছাতে জাহাজটির লেগেছে ২২দিন। নাখোদকা বন্দর থেকে আরেকটি জাহাজে এ চালান রূপপুর প্রকল্পে পৌঁছে দেয়া হবে।

রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের অন্তর্ভূক্ত প্রতিষ্ঠান এটমফ্লোটের ফার্স্ট ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লিওনিদ ইরলিস্তা জানান, ‘কোন কোন স্থানে বরফের স্তর ছিল যথেষ্ট পুরু। তবে, জাহাজটির অসাধারণ কার্যক্ষমতা ও ক্রুদের দক্ষতার কারনে আমরা কোন বিলম্ব ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছি।’

উত্তর সমুদ্রপথ নিয়ে রাশিয়া সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা রয়েছে এবং ২০২৪ সাল নাগাদ এই রুটে ৮কোটি টন মালামাল পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম কোন সমুদ্র বন্দর থেকে উত্তর সমুদ্রপথ ব্যবহার করে দূরপ্রাচ্যে পৌঁছাতে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় তা সুয়েজ খাল ব্যবহারের চেয়ে প্রায় ৪০শতাংশ কম।

রাশিয়ার জালিভ শিপ-ইয়ার্ডে তৈরীর পর ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরমাণু শক্তিচালিত সেভমোরপুত মালবাহী জাহাজ কাজ শুরু করে। কেএলটি-৪০ পারমাণবিক রিয়্যাক্টর সমৃদ্ধ জাহাজটি অন্য কারো সহযোগিতা ছাড়াই এক মিটার পর্যন্ত পুরু বরফ স্তর অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে সক্ষম।

উল্লেখ্য, এটমফ্লোট বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা পরমাণু শক্তিচালিত আইস-ব্রেকার ও কার্গো জাহাজ পরিচালনা করে থাকে।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়