শুক্রবার

২৬ এপ্রিল ২০২৪


১৩ বৈশাখ ১৪৩১,

১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশে তৈরি নোকিয়ার স্মার্টফোনের যাত্রা শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ২৫ নভেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৫:৪৬, ২৫ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশে তৈরি নোকিয়ার স্মার্টফোনের যাত্রা শুরু

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৫ নভেম্বর): বাংলাদেশে তৈরী বহুল প্রতীক্ষিত নোকিয়া মোবাইলের জি সিরিজের দুটি মডেল জি-১০ ও জি-২০ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে এইচএমডি গ্লোবাল বাংলাদেশ। এই দুইটি সেটই গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির কারখানায় তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানী একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তৈরি নোকিয়া ফোনের যাত্রা শুরুর ঘোষনায় এ তথ্য জানানো হয়।

এইচএমডি গ্লোবালের জেনারেল ম্যানেজার (প্যান এশিয়া) রাভি কুনওয়ার বলেন, 'আজকে আমাদের জন্য স্মরনীয় একটি দিন। নিঃসন্দেহে বিগত এক বছর ছিল আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে এ সময় আমাদের চিন্তাভাবনা করে প্রস্তুত হয়ে পরবর্তী বড় পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন ও সেখানে সংযোজিত হ্যান্ডসেটের উন্মোচন আমাদের যাত্রার একটি মাইলফলক।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার ও ইউনিয়ন গ্রুপ বাংলাদেশের সমন্বয়ে গঠিত ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার (বাংলাদেশ) লিমিটেড নোকিয়ার স্মার্টফোন বাংলাদেশে তৈরির জন্য প্রথম কারখানা স্থাপন করেছে।

গাজীপুরের হাইটেক সিটিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে গড়া নোকিয়া ফোনের কারখানাটি প্রশস্ত এবং দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট। সেখানে একাধিক যাচাই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পণ্যের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হয়।

ইউনিয়ন গ্রুপের ডিরেক্টর আলভী রানা বলেন, “নোকিয়ার মতো গ্লোবাল ব্র্যান্ডের অংশীদার হওয়া আমাদের জন্য খুবই সম্মানজনক। এইচ এমডি গ্লোবালের নির্দেশনায় ইউরোপীয় মানে আমরা কারখানা স্থাপন করেছি। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে তৈরি হ্যান্ডসেট ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে এবং এদেশের স্মার্টফোন মার্কেটে নোকিয়ার মার্কেট শেয়ার বাড়াতে সাহায্য করবে।”

নোকিয়া কারখানায় সংযোজনসহ মোট ৬ টি প্রোডাকশন লাইন আছে। নিজস্ব পরীক্ষাগার সম্বলিত শুরুতে কারখানায় প্রতিদিন ৩০০ ফোন সংযোজন করা হবে। এ কারখানায় প্রায় ২০০ কর্মীর হাতে স্থানীয়ভাবে তৈরি নোকিয়া স্মার্টফোন আমদানিকরা ফোনের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাবে।

ফোন : নোকিয়া জি - সিরিজ: জি-সিরিজের ফোনগুলির ফিচার এতো নিখুঁতভাবে সমন্বয় করা যে, ফোনগুলো সমস্যা সমাধানের প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে। জি-১০ এবং জি-২০ উভয় ফোনই তিন দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম, যা এ যাবৎ পর্যন্ত নোকিয়া স্মার্টফোনে সর্বোচ্চ।  

আঙ্গুলের ছাপ ও ব্যবহারকারির ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে ফোন আনলকের অপশন থাকছে এ দুটি মডেলে। দীর্ঘায়ুর এই দুটি ফোনেরই রয়েছে আকর্ষণীয় ৬.৫ ইঞ্চি টিয়ারড্রপ ডিসপ্লে। বেশি আলোতে দেখার জন্য আছে উজ্জলতা বাড়ানোর ব্যবস্থা।

স্মরনীয় মুহূর্তগুলো ধরে রাখতে চারটি ব্যাক ক্যামেরা সম্বলিত জি-২০ ফোনে আছে পর্যাপ্ত স্টোরেজ ওজো সারাউন্ড অডিওসহ আকর্ষণীয় ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড এঙ্গেল ব্যাক ক্যামেরা।

নোকিয়া জি -১০ মোবাইলে আছে ত্রিপল রিয়ার ক্যামেরা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা সম্বলিত শুটিং মোড। এর মাধ্যমে কম আলোতেও অত্যন্ত ভালো ছবি তোলা সম্ভব। তাই প্রতিটি মুহূর্তই পুরোপুরি নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়