রোববার

১২ মে ২০২৪


২৯ বৈশাখ ১৪৩১,

০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

১৪ মাসে ক্ষুদ্র শিল্পে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৩:০৮, ৪ জুলাই ২০২১  
১৪ মাসে ক্ষুদ্র শিল্পে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ

ছবি: বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো

ঢাকা (৩ জুলাই): করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (সিএমএসএমই) প্রণোদনা তহবিল থেকে ১৪ মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এটি মোট তহবিলের ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৪ হাজার ৯৬৯ গ্রাহক স্বল্প সুদের এই ঋণ পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী উদ্যোক্তা এই তহবিল থেকে ঋণ পেয়েছেন

উল্লিখিত তথ্য গত ১৭ জুন পর্যন্ত সময়ের। প্রাপ্ত তথ্যে আরও দেখা গেছে, গত ১৭ জুন পর্যন্ত ক্ষুদ্র শিল্পের এই প্রণোদনা তহবিল থেকে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে ব্যাংকগুলো। এই ঋণ বিতরণ হলে তহবিলের বিতরণের হার দাঁড়াবে প্রায় ৮০ শতাংশে।

করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় গত বছরের ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্রশিল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দেন। ওই বছরের ১৩ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত নীতিমালা ঘোষণা করে। এরই মধ্যে এক বছর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও প্যাকেজটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

পরিসংখ্যাণে দেখা যায়, আলোচিত সময় পর্যন্ত পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী উদ্যোক্তা সিএমএসএমই খাতের প্রণোদনার ঋণ পেয়েছেন। করোনা মহামারিতে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থিমিত হয়ে পড়ায় সিএমএসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানকে এই প্যাকেজের আওতায় মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিএমএসএমই ঋণের বিতরণ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই প্যাকেজের শতভাগ ঋণ বিতরণ সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক এই প্যাকেজের ঋণ বিতরণে এগিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে কৃষি ব্যাংকের বিতরণের হার ৯৪ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং অগ্রণী ব্যাংকের বিতরণের হার ৯৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক,  শাহজালালা ইসলামী ব্যাংক ও মধুমতি ব্যাংক সিএমএসএমই খাতের এই প্যাকেজের প্রায় শতভাগ লক্ষ্যমাত্র অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

আলোচিত সময় পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিক থেকে পিছিয়ে ছিল পূবালী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। পূবালী ব্যাংক ৩৩ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৪১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়