বুধবার

০৯ অক্টোবর ২০২৪


২৪ আশ্বিন ১৪৩১,

০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

কুষ্টিয়া জেলা আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:৩৭, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কুষ্টিয়া জেলা আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  কুষ্টিয়ার খোকসায় জেলা পরিষদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পূর্বের লিজ বাতিল করে সদর উদ্দিন তার ম্যানেজার গনেশ এর নামে উল্লেখিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিয়ে দোকান নির্মাণ করেন।

গতকাল রোববার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে শোমসপুর যাওয়ার প্রধান সড়কের বুজরুক মির্জাপুর এলাকায় ৩০ বছরের বন্দোবস্ত বাতিল করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২০টি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন সদরউদ্দিন খান। 

জানা গেছে,  ৫-৬ লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে একেকটি দোকানের পজিশন। ভুক্তভোগী রজব আলীর ছেলে বাবুল আক্তার জানান, ৩০ বছর যাবত খোকসার বুজরুক মির্জাপুর মৌজার আর এস ৬১৮ ও ৬১৯ নং দাগের ২৭০ ফুট সম্পত্তি তার বাবার নামে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ থেকে বন্দোবস্ত ছিল। 

জেলা পরিষদের বন্দোবস্তের বাৎসরিক  খাজনা নিয়মিত পরিশোধ করলেও কোনো নোটিশ ছাড়া ২০২৩ সালে তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান তাদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তিতে বালু ভরাটের কাজ করেন। 

এ সময় তারা জেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন তার ম্যানেজার গনেশ চন্দ্রের নামে উল্লেখিত ২৭০ ফুট সম্পত্তির মধ্যে ১৯৬ ফুট সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিয়েছেন। 

তারা বিষয়টি নিয়ে সদরউদ্দিন খানের কাছে গেলে হেলথ ইনস্টিটিউটে তাদের পরিবারের একজনকে চাকরি ও উল্লেখিত সম্পত্তিতে নির্মিত মার্কেটের সম্মুখভাগে দুইটা দোকান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 

কিন্তু পরবর্তীতে সদরউদ্দিন তাদের সঙ্গে কোনো কথা রাখেননি এবং বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানান। 

আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট সদরউদ্দিন খান অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় কোথাও অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাননি তারা। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে সদরউদ্দিন খান গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি সদরউদ্দিন খানের কাছ থেকে ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানান। 

বিষয়টি জানতে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী জয়নাল আবেদীনের নিকট মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়