নজরুল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছেন: হাছান মাহমুদ
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা (২৫ মে): কাজী নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করা অন্য কবিদের সাথে কাজী নজরুল ইসলামের পার্থক্য হচ্ছে, তিনি মুক্তির পক্ষে, সাম্যের পক্ষে, নির্যাতিতদের পক্ষে কথা বলেছেন। তার কবিতা ও গান মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে।
বুধবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুমিল্লার নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সিমিন হোসেন রিমি, কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহার, সংসদ সদস্য বেগম রওশন আরা মান্নান, সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর, নজরুল গবেষক অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, কবি নজরুলের পৌত্রী মিষ্টি কাজী এবং খিলখিল কাজী, কুমিল্লার ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রমুখ সভায় বক্তৃতা দেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি যে কবি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন তিনি হচ্ছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। অন্য কবিদের চাইতে নজরুলের স্বাতন্ত্র্য হচ্ছে, অন্য কবিরা কবিতা লিখেছেন, সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। কিন্তু কাজী নজরুল শুধু সাহিত্যকেই সমৃদ্ধ করেছেন তা নয়, তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে তিনি ত্বরান্বিত করেছেন। একজন কবি যে মানুষ উদ্দীপ্ত করতে পারে, মুক্তিকামী মানুষকে সাহস জোগাতে পারে, মানুষকে যে বিদ্রোহী করতে পারে, সেটির প্রমাণ হচ্ছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।’
তিনি বলেন, একইসাথে দ্রোহ, মুক্তি, সাম্য ও সম্প্রীতির কবি নজরুল যখন বাংলা তথা ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক হানাহানি চলছিলো, তখন সম্প্রীতির মন্ত্র উচ্চারণ করে লিখেছেন- মোরা একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তার প্রাণ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে জাগ্রত করেছেন এবং এ জন্য কাজী নজরুল ইসলামের কাছ থেকেও তিনি মুক্তির পক্ষে, সাম্যের পক্ষে কথা বলার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন, অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। সেই কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিব ১৯৭২ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে বলে কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কবি নজরুল বারবার কুমিল্লায় এসেছেন, কান্দিরপাড়ের একটি বাসায় উঠতেন তিনি। নার্গিসকে নজরুলের কালজয়ী গানের পটভূমি এবং সেই নার্গিসের বাড়ি ছিলো কুমিল্লায়।