শুক্রবার

২৯ মার্চ ২০২৪


১৫ চৈত্র ১৪৩০,

১৯ রমজান ১৪৪৫

সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা: জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭৫২ টন ভিজিএফ বরাদ্দ

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:০০, ১৬ মে ২০২২   আপডেট: ২০:১২, ১৬ মে ২০২২
সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা: জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭৫২ টন ভিজিএফ বরাদ্দ

ফাইল ছবি, সংগৃহিত

ঢাকা (১৬ মে): ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণে বিরত থাকতে চলা জেলেদের জন্য সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১৬ হাজার ৭৫১ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। 

আজ ১৬ মে মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমগুলোতে পাঠানো এক সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় ১৪ জেলার ৬৭ উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় নিবন্ধিত প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রথম ধাপে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ৪২ দিনের জন্য মোট ৫৬ কেজি চাল প্রদান করা হবে। গত ১২ মে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণী-সম্পদ মন্ত্রণালয়।

তারা আরও জানিয়েছে, ভিজিএফের চাল ১০ জুন ২০২২ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও মৎস্যজীবীদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কার্ডধারী জেলে ব্যতীত এ ভিজিএফ প্রদান না করা এবং মৃত কিংবা পেশা পরিবর্তনের কারণে জেলে সংখ্যার পরিবর্তন হলে তা পর্যালোচনা করে নীতিমালা অনুযায়ী ভিজিএফ বিতরণের জন্য মঞ্জুরীপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হল- খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলীয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজীরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভাণ্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালী ও ইন্দুরকানী, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দীন, চরফ্যাশন, দৌলৎখান, লালমোহন, তজুমুদ্দীন ও মনপুরা।

প্রসঙ্গত, সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য চলতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণী-সম্পদ মন্ত্রণালয়।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়