শনিবার

২০ এপ্রিল ২০২৪


৭ বৈশাখ ১৪৩১,

১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্যাংককে জাতীয় শোক দিবস পালিত

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০১:৫৮, ১৬ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ০২:০০, ১৬ আগস্ট ২০২১
ব্যাংককে জাতীয় শোক দিবস পালিত

ছবি: রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন

ঢাকা (১৫ আগস্ট): স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীতে ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।

রবিবার ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৫ আগস্ট সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতা, তাঁর পরিবারবর্গ ও ১৫ আগস্টের শহিদদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অনলাইনে এ কর্মসূচিতে যুক্ত হন।

থাইল্যান্ডে বিশেষত ব্যাংককে করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের জারীকরা বিধিবিধানের আলোকে জুম প্লাটফর্মে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্যুনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী সমূহ পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের উপর বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন, ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব, আত্মত্যাগ ও দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতি উপর আলোকপাত করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা হত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের মাধ্যমে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার মাধ্যমে বাঙালি জাতি অপরাধের গ্লানি মুক্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সকলকে দল-মত নির্বিশেষে কাজ করার আহ্বান জানান। সাধারণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এআইটি এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর শ্রীমতি জয়শ্রী রায়, বিশিষ্ট কম্যুনিটি ব্যক্তিত্ব ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

শোকদিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গের উদ্দেশ্যে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারে সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শোকদিবসের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দূতাবাস একটি মুসলিম এতিমখানা এবং একটি বৌদ্ধ এতিমখানায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে। এতিমদের জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিশেষ সাহায্য ও খাবারের আয়োজন করা হয়।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়