শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালন
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালন
ঢাকা (১৫ আগস্ট): টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস গভীর শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন করেছে। জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ-বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ রবিবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
করোনা মহামারি সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা–কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রী দেওয়া বাণীসমূহ অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আধুনিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, শহীদ শেখ রাসেলসহ সেই কালো রাত্রিতে নিহত সকল শহীদকে।
তিনি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমেই বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বদা পাশে থাকায় প্রতিমন্ত্রী জাপান সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা— তিনিই বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
তিনি আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তাঁর দেখানো পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন।